রহমত নিউজ ডেস্ক 24 May, 2023 08:09 PM
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন-ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ঢাকার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। নির্বাচনের সময় আমি বলেছিলাম ঢাকার যে ঐতিহ্য আছে, সেই ঐতিহ্যকে আমাদের ধারণ করতে হবে, সংরক্ষণ করতে হবে। শুধু দেশবাসী নয়, বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। সেই ইতিহাসকে, সেই ঐতিহাসিক চিত্রকে আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই। পর্যায়ক্রমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর সংস্কার, সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
বুধবার (২৪ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ নেতার মাজার সংলগ্ন ঢাকা ফটকের সংস্কার কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীল প্রমুখ।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও এই প্রথম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঐতিহাসিক একটি স্থাপনার সংস্কার শুরু করেছে। এছাড়া আমরা লালকুঠিতেও সংস্কার শুরু করেছি। সুতরাং ধাপে-ধাপে, পর্যায়ক্রমে আমাদের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংস্কার, সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনা করব। যাতে করে বহির্বিশ্বের পর্যটকরা এসে ঢাকাকে বুঝতে পারে, জানতে পারে এবং শিখতে পারে। এই ঐতিহাসিক ঢাকা ফটক, যেটা রমনা ফটক নামেও পরিচিত ছিল একসময় তৎকালীন বাংলার সুবেদার মীর জুমলা এটি নির্মাণ করেছিলেন। সেই সময়ের চিত্র যদি আপনারা দেখেন, এই ফটকই ছিল ঢাকার মূল প্রবেশদ্বার। বুড়িগঙ্গা নদী দিয়ে আসার পরেই এই প্রবেশদ্বার দিয়েই সবাই ঢাকায় প্রবেশ করত এবং এই ফটকের চারপাশে হাতি পাহারারত অবস্থায় থাকত। এরকম চিত্রও আমরা দেখেছি। আমরা সেই ইতিহাসকে, সেই ঐতিহাসিক চিত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই।